বড়লোকের মেয়ে vs ছদ্মবেশী ছেলে পাঠঃ ২
গল্পঃ বড়লোকের মেয়ে vs ছদ্মবেশী ছেলে
পাঠঃ ২
লেখকঃ রেজওয়ান বাবু রাসেল
৮/১০ টা মেয়ে আমাকে চার দিক দিয়ে ঘিরে ধরেছে।
আর সবার মাঝে আমি বসে আর শারমিন দাড়িয়ে আছে।
এমন সময় শারমিন আমাকে একটা লাথি দিতে ধরল।
তখন
আমি তার আগেই উঠে শারমিনের মাথাটা ধরে ঠোঁটে কিসস সরি গালে কিসস করলাম। এতে সবাই অবাক হয়ে যায়।
এরপর আমি আর কিছু না বলে দুই টা মেয়েকে হাত দিয়ে সরিয়ে সোজা ক্লাস রুমে চলে আসলাম।
.
কিন্তু ক্লাস রুমে এসে বেশি ক্ষণ থাকতে পারলাম না। কারণ, আমার দুই ঠোঁটে আতা ময়দা লেগেছিল। তাই
ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
আমি কিছু বুঝি না!
সুন্দরী মেয়ে গুলোও কেনো যে আতা ময়দা মাখে।
আতা ময়দা না মাখলে মনে হয় মেয়ে জাতির কলঙ্ক হবে।
.
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি স্যার ক্লাসে চলে আসছে।
এরপরে প্রথম ক্লাস করলাম। প্রথম ক্লাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে পিওন আমাকে ডাক দিয়ে বললো আমাকে কলেজের প্রিন্সিপাল আমাকে যেতে বলছে।
.
আমি একটু অবাক এ হলাম।কারণ আমি এমন কি করলাম যে আমাকে ডাকবে?
আমি একটু ভাবলাম, তারপর মনে পড়লো যে সকালে তো শারমিন কে কিস করছি। সে জন্য ডাকছে না কি?
প্রথম ক্লাসে তো ওকে দেখলাম ও না।
.
এরপর প্রিন্সিপাল স্যার এর রুমে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি শারমিন ওখানে দাঁড়িয়ে আছে।।আর আমি স্যার কে সালাম দিতে গিয়ে দেখি রাশেদ স্যার। আমি স্যার কে সালাম দিলাম। স্যার সালাম নিয়ে আমাকে দেখার সাথে সাথে বললো...
-আরে পলক তুমি এখানে যে?
- জ্বি স্যার আমি এখানে ভর্তি হয়েছি কালকে।
( স্যার আমাকে চিনে দেখে একটু অবাক এ হলো শারমিন)
-ওহ ভালো করছো।
-ন্হুম স্যার,।স্যার আমাকে ডাক দিয়েছেন না কি?
- স্যার শারমিনকে বললো এই ( আমাকে দেখিয়ে) কি তোমাকে?
-শারমিন বললাম হ্যা স্যার এই সেই ছেলে যে সকালে আমাকে কিস করছে।
.
স্যার বললো
- কি পলক এ যা বলছে সত্যি কি?
-আমি বললাম, স্যার আপনার কি বিশ্বাস হয় আমি এমন কিছু করতে পারি?
-হ্যা তা তো আমি জানি। তুমি এমন কিছু করতে পারো না।তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে শারমিন কে স্যার বললো।
-শারমিন স্যার কে বললো না স্যার। এই আমাকে আর আমার সাথে আমার বান্ধবীরাও ছিলো তাদের কেও বলতে পারেন।
.
স্যার শারমিন কে বললো, যা আমাকে বলছো এটা আর কেউকে বলো না। আমি পলক কে ভালো করেই চিনি।ও একটা খুব ভালো ছেলে। পারলে ওর সাথে বন্ধত্ব করো।
আচ্ছা তোমারা যাও এখন আমাকে ও শারমিন কে বললো।
.
আমি তো ভাবছিলাম স্যার আজকে আমার কি না কি করে তা ভেবেই পাচ্ছিলাম না।কিন্তু স্যার আমাকে যে এতোই বিশ্বাস করে তা আগে জানতাম না। আশার সময় স্যার কে ধন্যবাদ দিয়ে আসলাম।
.
এদিকে শারমিন মন খারাপ করে রেগে ক্লাসে আসলো। আর আমি রাজীব সহ করেকটা বড় ভাইদের সাথে কথা বলে ক্লাসে আসলাম।
ক্লাসে এসে দেখি স্যার ক্লাসে চলে আসছে। স্যার কে আজকে প্রথম দেখলাম।
তাই আমি সালাম দিয়ে বললাম, স্যার আসতে পারি?
স্যার তখন সবার উদ্দেশ্য বললো, ভালো ছাএের গুন কি জানো তোমরা?
গুন গুলো হলো সময় মতো সব কিছু করা, ক্লাস শুরু হওয়ার আগে ক্লাসে আসা।ফাস্ট বেঞ্জে বসা আরো অনেক কিছু বললো।
.
এর দিকে দেখো (আমাকে দেখিয়ে)। দেখেই তো মনে হচ্ছে না যে এ ভার্সিটির ছাত্র। পোশাকের যা অবস্থা, চুল গুলো মনে হয় পাখির ভাসা। মনে হচ্ছে কোথায় কামলা দিতে এসেছে।
.
স্যার এর কথা শুনে খুব রাগ উঠলো আমার।কিন্তু নিজিকে শান্ত করে রাখলাম। এদিকে স্যার এর কথা গুলো শুনে শারমিন ও ওর বান্ধবীরা বেশ মজা পেলো আর হাসতেছে।
.
এই ছেলে এখন বাইরে আসো কেন?ক্লাসে আসো।
স্যার আসতে বলার পরে আমি ক্লাসে ঢুকলাম আর শেষ বেঞ্জে বসলাম।
স্যার এক পর্যায় বললো,
তোমরা কে কে জিপিএ-৪ পেয়েছো?
ক্লাসের কয়েক জন বাধে সব স্টুডেন্ট দাঁড়ালো।
এর পরে বললো জিপিএ-৫ পেয়েছো কে কে?
এবার আমি বাদে সবাই দাড়ালো।
.
তুমি দাড়ালে না কেনো? নিশ্চয় তুমি ২/৩ পয়েন্ট পেয়েছো?
আমি দাড়িয়ে বললাম, না স্যার।
স্যার বললো, তাহলে এর চেয়েও কম?
আমি এবার ও বললাম না স্যার।
স্যার বললো, তাহলে কতো পেয়েছো তুমি?
আমি বললাম গোল্ডেন এ+
আমার কথা শুনে স্যার সহ ক্লাসের সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো।
স্যার বললো আমি বিশ্বাস করি না।
একথা শুনে আমি আমার ব্যাগ থেকে রেজাল্ট শিট বের করে দেখালাম। তারপরে স্যার বিশ্বাস করলেও বললো হয়তো তুমি নকল বা প্রশ্ন পেয়ে পরিক্ষা দিয়েছো।
যাক না কিছু দিন তারপর না হয় দেখা যাবে তুমি কেমন।
.
জ্বি স্যার বলে বসে পড়লাম এবং সাথে সাথে ক্লাসের টাইম ও শেষ হয়ে গেলো।
স্যার বেড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে শারমিন আমার কাছে এসে বললো,,
কে তুই?
তোর জন্য আজকে প্রথম কেউ আমি সত্য কথা বলার পরেও বিশ্বাস করলো না?
.
আমি আসতে করে বললাম, আমি হলাম মোঃ পলক ইসলাম।
শারমিন বললো তা তো জানি। কিন্তু প্রিন্সিপাল এর সাথে তোর কিসের সম্পর্ক যে আমাকে অপমান করলো?
আমহ বললাম, আমি কি জানি? আমি তো স্যারকে কিছু বলিনি।আপনি তো সব কিছুই করলেন আর আপনিই বাশশশশ খেলেন।
কি বললি তুই?
আমি বললাম, আমি যা বলি একবার এ বলি দুই বার না?
.
তুই আমাকে চিনছ?
এ তুই কে রে? তোর এতো প্রশ্নের উওর দিব কেন? (আমি)
কি বললি তুই? ছোট মুখে বড় কথা? তোর বাবা মা শিখায়নি কার সাথে কি ভাবে কথা বলতে হয়? তোর বাবা মায় তো মনে হয় কথা বলতে জানে না।জানিস আমি চাইলে কি করতে পারি?
বলেই একটা চড় মারলো আমাকে শারমিন।
.
ঠ্যাসসসস ঠ্যাসসসসস করে
আমি দুটা চড় মারলাম শারমিনের দুই গালে।
আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেয়ে ওকে চড় দিলাম।
কারণ
আমার মা-বাবা কে কেউ কিছু বললে আমি ঠিক থাকতে পারি না। শারমিনের ভাগ্য ভালো যে ও ছেলে। না হলে আজকে ওকে মেডিকেলেও ভর্তি করাতো না এতোটাই মারতাম ।
.
এদিকে শারমিন ফ্লোরে বসে ভ্যা ভ্যা করে কান্না করতেছে।
চলবে.......?
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
কষ্টের গল্প
লাভ স্টোরি
Comments
Post a Comment